নিউজ ডেক্সঃ
জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫৭ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কোনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বরাতে রয়টার্স বলছে,গাজা অঞ্চল থেকে দুইটি রকেট ছোঁড়া হয়।একটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।অন্যটি সীমান্তের কাছে আঘাত হেনেছে। রমজান মাস শুরু হলে এক সপ্তাহের মধ্যে এটি তৃতীয় সংঘর্ষের ঘটনা। যা দুই পক্ষকে বড় সংঘাতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, আল আকসার ভেতরে পশ্চিম পাশে ইহুদিদের প্রার্থনার স্থান। ইহুদিদের প্রার্থনার স্থান লক্ষ্য করে ফিলিস্তিনিদের প্রায় ১০০ জন নাগরিক ইট পাটকেল ছুঁড়ে। পাথর নিক্ষেপের কারণে এক নারী পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিনিধিরা ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। শুক্রবার ভোরে নামাজের পরে পুলিশ আল আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। তারা ভিড়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড ছুঁড়ে। এছাড়া ড্রোন ব্যবহার করেও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।
গত বছর রমজান মাসে আল আকসা প্রাঙ্গণে একই ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন গাজা অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যপক সংঘর্ষ হয়। সে সময় শত শত মানুষ হতাহত হয়। এবার চলমান সংঘর্ষ গতবারের মতো রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্চের ২২ তারিখ থেকে আরব আততায়ীর হামলায় ১৪ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে তিনজন পুলিশ অফিসার রয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি পুলিশের হাতেও ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে বন্দুকদারি ও সাধারণ জনগণ রয়েছেন।
পূর্ব জেরুজালেমের পুরাতন শহর প্লেটুর উপরে আল আকসা মসজিদ অবস্থিত। যা ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল দখল করে। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যতে নিজেদের রাজধানী হিসেবে তৈরি করতে চায়।